মো.নাহিদুল হক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) |
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের
পূর্ব মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনটি শুন্য পদের নিয়োগে অবৈধ লেনদেনসহ অনিয়মের বিরুদ্ধে উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আহসান হাবিব বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। তিনি উক্ত
তিনটি পদের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল পূর্বক সচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুন:রায় নিয়োগের আবেদন জানান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক, আয়া ও পরিছন্ন কর্মী না থাকায় সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি হয়। ফলে উক্ত তিনটি শুন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
তিনটি পদের জন্য মোট ৩৯ জন প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয়ের সভাপতি বশির আহাম্মেদকে নিয়োগ বোর্ডের প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। অত:পর ১৭ ফেব্রæয়ারী ২০২৩ নিয়োগ পরিক্ষার দিন ধার্য করা হয়।
বাদীর অভিযোগ মতে, নিয়োগ বোর্ডের প্রধান বশির আহাম্মেদ ও সদস্য সচিব অত্র
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাম হোসেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের
পছন্দের তিনজন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা
এক প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে উক্ত প্রার্থীর স্বামীর নিকট হতে ৪ লক্ষ টাকা নেয়। পরে অন্য প্রার্থীর কাছ থেকে ওই একই পদের জন্য ৫ লক্ষ
টাকা পেয়ে পূর্বের প্রার্থীর টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে ফেরত দেন বলে অভিযোগে জানা যায়। এতে অবৈধ টাকা লেনদেনের বিষয়টি সকলের কাছে প্রকাশ্য ও দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। এমনকি তারা বিদ্যালয়ের রেজুলেশন বহিতে আলোচ্য বিষয় না লিখে
ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করছে। বাদী আহসান হাবীব মজনু তাদের এ হীন কাজের প্রতিবাদ, অনিয়ম ও অবৈধ লেনদেনের
কারনে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ ও পরবর্তীতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ নেয়ার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পূর্ব মধূখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব মো. আলাম হোসেন বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি তবে সরাসরি কথা বললে বুঝিয়ে বলতে পারবো।
পূর্ব মধূখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও নিয়োগ বোর্ডের প্রধান মো. বশির আহাম্মেদ বলেন, আমি একটা ট্রেনিংয়ে কয়েকদিন ধরে বরিশাল আছি। কি কারনে মামলা হয়েছে তা জানিনা তবে আদালতে একটি মামলা হয়েছে শুনেছি।
কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান এবিষয়ে বলেন, আদালতে মামলার একটি কপি পেয়েছি। শুক্রবার নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে মৌখিকভাবে শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত কাগজ পাইনি।