নিজস্ব প্রতিবেদক :–
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর কুড়ালিয়া সিধু হাওলাদার বাড়িতে শশুর এবং তার ননদদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়ে ফাতেমা (৪০) নামে এক গৃহবধূ বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
সাক্ষাৎকালে ফাতেমা বলেন, ২০০৩ সালে আমার বিবাহ হয়। এরপর আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে ছিলাম ২০১২ সাল পর্যন্ত। পরবর্তীতে আমার স্বামীর কাছে ঢাকা চলে যাই।
অতপর আমার শ্বশুরের থাকা খাওার সমস্যার কথা বলে আমাকে দেশে আসার জন্য অনেক অনুরোধ করে। দেশে আসার পর আমার ননদ কোহিনুর ও মনোয়ারা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে প্ররোচনায় আমার শ্বশুর আমার শ্বশুরকে কান পরামর্শ দিয়ে, আমাকে নির্যাতন করাতে থাকে।
রবিবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আমার ননদরা আমাকে বলে আজকে একটা খুনাখুনি হয়ে যেতে পারে। পরক্ষণেই আমার শ্বশুর ডাক চিৎকার মারতে থাকে,বলে ঘর থেকে বের হয়ে যা। আমি এই ঘর দুয়ার সব বিক্রি করে দিব, তোরা এর কিছুই পাবিনা। আমার ননদরা আমার শ্বশুরকে বলে ওরে এভাবে হবেনা ওকে পিটিয়ে মেরে ঘর থেকে বের করতে হবে, প্রয়োজনে আমরা আমার বাবার জমি বিক্রি করে মামলা সামাল দিব। এই কথা বলে আমাকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে ঘরের উঠানে থাকা লাকড়ি দিয়ে মাটিতে ফেলে ধান পেটানোর মত করে মারতে থাকে। এই নিয়ে আমাকে কয়ে কবার মারপিট করেছে। প্রতিনিয়ত পাশবিক নির্যাতন সহ্য করে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে হয়েছে।
আহত ফাতেমার বাবার বাড়ী দৌলতখান উপজেলার মধ্য জয়নগর ৪নং ওয়ার্ডের ডাক্তার বাড়ী। তার বাবার নাম মোঃ ইসমাইল।
আহত ফাতেমা বেগমের ছোট জাল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমিও এই ঘরে ছিলাম। আমার শ্বশুড় ও ননদের নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে আমি জমি কিনে আলাদা হয়ে এখন অন্য জায়গায় বসবাস করছি। আমাকেও আমার শশুর এবং ননদরা বহুৎ নির্যাতন করেছেন।
আহত ফাতেমা বেগমের ভাই মাইন উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বোন এ পর্যন্ত অনেকবার মার খেয়েছেন, অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন।
আমরা এর সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। আমরা মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আহত ফাতেমা বেগমের স্বামী জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদকর্মীদের বলেন, আমি মামলা করব।
আমার দুই বোন এবং বোন জামাই আমার বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে তা ভোগ করার জন্য আমার স্ত্রীকে এভাবে নির্যাতন করতেছেন যেন আমার স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যাই।
আমার স্ত্রী বাড়িছাড়া হলেই তারা আমার বাবাকে বিভিন্ন প্রোরচারণা এবং ইন্দন দিয়ে আমাদের সমস্ত জমি বিক্রি করে তারা তা ভোগ করবেন। আমি আমার বোনদের বিরুদ্ধে তাদের নামে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর মারফত জানতে পারলাম হাফিজল তার ছেলের বউ ফাতেমাকে ব্যাপক মারধর করেছেন।