পরীমনিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ থেকে অব্যাহতি পাওয়া গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার-এডিসি গোলাম সাকলায়েন শিথিলের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদরদপ্তর। তিন সদস্যের কমিটিতে আছেন পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রেনিং) মিয়া মাসুদ করীম, ডিএমপির উইম্যান সাপোর্ট সেন্টারের উপ কমিশনার (ডিসি) হামিদা পারভীন এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) রুমানা আক্তার।
রবিবার রাতে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে শনিবার গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে ডিবির সব দায়িত্ব থেকে নিবৃত্ত করা হয়। পরে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিমে পদায়ন করা হয়।
গত বুধবার বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ভয়ংকর মাদক এলএসডি ও আইসসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন নায়িকা পরীমনি। এরপরই সাকলাইনের সঙ্গে পরীমনির প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসে।
জানা গেছে, সাভারের বোট ক্লাবে পরীমনির ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদারকি কর্মকর্তা ডিবির এডিসি গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের প্রাথমিক তদন্তের প্রমাণ পায় ঢাকা মহানগর পুলিশ। পরীমনিকে নিয়ে ১৮ ঘণ্টা তার নিজের বাসায় সময় কাটানোর অভিযোগ উঠায় ডিবির সব কার্যক্রম থেকে সাকলাইনকে নিবৃত্ত করা হয়। ডিবি কর্মকর্তার সঙ্গে পরীমনির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম্যসহ পুলিশ প্রশাসনে।
জানা গেছে, সাকলায়েন বিবাহিত এবং তার স্ত্রী প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সাভারের বোট ক্লাবে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তের তদারকি করতে গিয়ে এডিসি গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে চিত্রনায়িকা পরীমনির। সেই কারণে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় একাধিকবার যাতায়াতও করেন পরীমনি। সম্প্রতি সাকলায়েনের বাসায় যাতায়াতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।