ঢাকাশুক্রবার , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রবাসীরদের কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসার্থের অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধি |
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ ৯:১৮ অপরাহ্ণ । ৫৪ জন
Link Copied!
একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভোলা প্রতিনিধি |

ইতালী প্রবাসীদের কাছে থেকে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মো. আসাদ তালুকদার (৪৫) নামে আরেক প্রবসীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আসাদ তালুকদার বরিশাল জেলার মুলাদি থানার নাদেরপুর ইউনিয়নের তালুকদার বাড়ির বাসিন্দা। সে ইতালী থেকে কয়েক জন প্রবাসীর কাছ থেকে মিথ্যা কথা বল টাকা নিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে।
ইতালী প্রবসী ভোলা সদর উপজেলার মো. মাজেদুল হক শাহিন অভিযোগ করে জানান, তিনি ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের মল্লিক বাড়ির বাসিন্দা। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি ইতালীতে সুনামের সাথে বিভিন্ন প্রতষ্ঠিানে চাকরি করে আসছেন। গত বছর তিনি ইতালীর একটি রেস্টুরেন্টে মাত্র ৪ মাসের জন্য চাকরি করেন। সেই চাকরির সুবাদে সেখানে পরিচায় হয় বরিশাল জেলার মুলাদি থানার আসাদ তালুকদারের সাথে। এরপর আসাদ বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার চাইতেন। এক পর্যায়ে আসাদ তার পরিবারের বড় ধরণের সমস্যার ওজুহাত দেখিয়ে শাহিনের কাছ থেকে ইতালীর এক হাজার ইউরো অথাৎ বাংলাদেশেী এক লাখ ১০ হাজার ৭৭১ টাকা ধার নেয়। ওই টাকা শাহিন নিজেই আসাদের ছেলে তোহা তালুকদারের একাউন্টে পাঠায়। পরে ওই টাকা ফেরত চাইলে আসাদ তালুকদার বিভিন্ন টাল বাহানা শুরু করে। এরপর আসাদ তাকে না জানিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। শাহিন আরো জানান, আসাদ বাংলাদেশে যাওয়ার পরে তিনি জানাতে পারেন সে অনেকের কাছে থেকে ধারসহ বিভিন্ন কাজ করে দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছে। এছাড়াও আরো জানতে পারেন আসাদ তালুকদার ইটালীর বিভিন্ন প্রদেশে ঘুরে সেখানে কাজ করা বাংলাদেশী সহজ-সরল যুবকদের টার্গেট করে প্রতারণা করে আসছে। এ বিষয়ে তিনি চলতি বছরে বাংলাদেশে এসে ভোলা গোয়েন্দা শাখার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলে অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসাদ তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি মাজেদুল হক শাহিনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে স্বীকার করে জানান, তিনি এখন ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছেন। ইতালী গিয়ে তার টাকা তাকে দিয়ে দিবেন। ভোলা গোয়েন্দা শাখার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোহাইমিনুল ইসলাম শাওন জানান, এ বিষয়টি তদন্ত চলছে।

error: Content is protected !!