বাংলাদেশ জনপদ, নিউজ ডেস্ক |
প্রেমের টানে প্রবাস থেকে ছুটে এসে লাঞ্ছিত হয়ে প্রেমিকার বাড়ীতেই বিষপান করেন প্রেমিক লাভলু ওরুপে আপন (৩০) নামের এক যুবক। বর্তমানে আপন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভোলা সদর হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা পুলিশ মো. মামুন এ ঘটনার সততা নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল (শুক্রবার ৩ ফেব্রুয়ারী) রাতে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দকপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। প্রেমিকা বেপারী বাড়ীর সালাউদ্দিন বেপারীর মেয়ে মুন্নী (২৫)। সে ইলিশা মডেল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আপন জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার ৪নং নম্বর ইউনিয়নের তামানিক গ্রামের দেওলাবাড়ীর লালমিয়া ও খোলেছা বেগম এর ছেলে।
জানাযায়, রাজাপুর ইউনিয়নের দারোখাখাল বাজার সংলগ্ম সালাউদ্দিন মিয়ার তালাকপ্রাপ্ত মেয়ের সাথে সৌদিআরব প্রবাসী লাভলু ওরুপে আপনের সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাঁর পর প্রেমিক আপন কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রেমিকা।
টাকা হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রেমিকা। যোগাযোগ বন্ধ করায় সৌদিআরব থেকে চলে আসেন প্রেমিক আপন। এয়ারপোর্ট থেকে ভোলায় এসে প্রেমিকার দেওয়া ঠিকানা অনুযারী বাসা খুঁজে বের করলে প্রমিকা পালিয়ে যায়। নানান ভাবে হেনেস্থা করে প্রেমিক কে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয়রা।
আপনের বড় ভাই মজনু মিয়া জানান, আমার ভাই থানায়, এই খবর শুনে আমরা ভোলা গিয়ে পুলিশের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসার পথে, আমার ভাই পালিয়ে যায়। আমরা অনেক খুঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চলে আসছি। এখন শুনি বিষপান করছে।
মজনু মিয়া আরো বলেন, আমার ভাই প্রবাসে এক বছর যা ইনকাম করেছে সবই তার প্রেমিকা কে দিয়েছে।
এদিকে ওই প্রেমিকা বরগুনার মিন্নী কে ও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে এলাকাবাসী। রাজাপুরে প্রেমিকার বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রেমিকার ভাই সাখাওয়াত হোসেন জানান, আমার বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ঠিক আছে তবে এই ছেলে কে আমরা অভিভাবক নিয়ে আসতে বলেছি। অভিভাবক নিয়ে আসবে বলে যাওয়ার পথে আমাদের এলাকার কিছু পোলাপানে আটক করে টাকা পয়সা, মোবাইল রেখে দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। পুলিশের থেকে কি ভাবে যেন ছাড়া পেয়ে আমাদের বাড়ীর পাশে গিয়ে বিষপান করেছে। সেখান থেকে পুলিশসহ আমরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা প্রথমে এই ছেলে কে হেফাজতে এনে তার ভাইয়ের কাছে দিয়েছি। পরবর্তীতে শুনলাম বিষপান করেছে। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।