বরগুনার তালতলী থানার চন্দল তলা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই দফায় তিনজনকে হাতুড়ি পেটা করেছে প্রতিপক্ষরা। রবিবার সকালে ও সন্ধ্যা ৭ টায় দুই দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তালতলী থানার চন্দল তলা গ্রামে মৃত নয় মিয়া হাওলাদারের ছেলে খাইরুল হাওলাদার (২৭) তার মা মরিয়ম বেগম(৫০) ও প্রতিবেশী শাকিল (১৮)কে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে গুরুতর আহত খায়রুল হাওলাদারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত সূত্রে জানা যায় কয়েক দিন আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ মহিবুল্লাহ খান গঙ্গাদের সাথে নির্বাচনী ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং নির্বাচনের পরে নবনির্বাচিত ১ নং পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার উভয়পক্ষকে সালিশ মীমাংসা মাধ্যমে ও ক্ষতিপূরণ দিয়ে মীমাংসা করিয়ে দেয়। এই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা তালতলী বাসস্ট্যান্ডে বসে শাকিল নামের এক যুবককে প্রথম দফায় হাতুড়িপেটা করে এসময় সাকিলের পকেটে থাকা উপবৃত্তির ৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭ টায় ছোট বগী বাজারের পাশের ফার্মেসিতে বসে থাকা খাইরুলের উপর হামলা চালায়।
এসময় খায়রুলকে ফার্মেসির ভিতরে বসে মহিবুল্লাহ খান, তার বাবা ইদ্রিস খান, জহির খান, ইসাহাক, ইসমাইল, সহ অজ্ঞতা চার-পাঁচজন হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। এসময় খাইরুরে চিৎকারে খাইরুলের মা মরিয়ম বেগম তার ছেলেকে বাঁচাতে আসলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আহত খাইরুল শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।