মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্না
(বেতাগী বরগুনা প্রতিনিধি):-
এই অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসা ঠিক হবে না। আমরা সবাই পড়ালেখা করছি। তোমারও পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হবে, তারপর সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হবে।’
কথাগুলো বলছিল, বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টাস্ক ফোর্সের উপজেলা শাখা সভাপতি তানজিলা জামান শিফা ও সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুল ইসলাম মুন্নাসহ সংস্থাটির শিশু সদস্যরা। আজ শুক্রবার ৬ আগস্ট বিকাল ৪ ঘটিকার সময়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরগুনার বেতাগী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে
মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে তারা।
এসব শিশুর হস্তক্ষেপেই বিকালে এগিয়ে আসেন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সংবাদকর্মী । একপর্যায়ে বন্ধ হয় মেয়েটির বাল্যবিয়ে।
জানা গেছে, জানা গেছে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মোসা. মিম আক্তারের সঙ্গে হোসনাবাদ ইউনিয়নের
৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঃশামসুল হক হাওলাদার এর ছেলে মো. মোঃ শামিম হাওলাদার বিয়ে ঠিক হয়। একপর্যায়ে মেয়ে মোসা. মিম স্বজনরা চড়াও হয়ে বিয়ে বন্ধ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে বেতাগী উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সহায়তায় বিয়ের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আজ শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিয়ের দিন ধার্য ছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেতাগী উপজেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি তানজিলা জামান শিফা,সাধারণ সসম্পাদক খাইরুল ইসলাম মুন্না,শিশু সাংবাদিক মাহমুদ আলম সৌরব,শিশু গবেষক সালমান সিদ্দিকী, ভারপ্রাপ্ত সাংগাঠনিক সম্পাদক ইসরাত জাহান লিমা,কার্যকারি সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌসে ইমা, কার্যকারী সদস্য ইমরান হোসেন, ভলান্টিয়ার সোহাগ খান।