ঢাকারবিবার , ৮ আগস্ট ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরগুনার বেতাগী হাসপাতালে রোগীরা পাচ্ছেন পঁচা খাবার

Admin
আগস্ট ৮, ২০২১ ৩:৩৭ অপরাহ্ণ । ৫২ জন
Link Copied!
একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্না,
(বেতাগী বরগুনা প্রতিনিধি):-

বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের পচাঁবাসি ও নিম্নমানের খাবার বিতরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা ভর্তিকৃত রোগীদের খাবার নিয়ে নানা জটিলতা ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পৌর শহরের প্রানকেন্দ্রে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অবস্থিত। উপজলায় একটি প্রথম শ্রেণি পৌরসভাসহ ৭ টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক জনসংখ্যার অধ্যুষিত একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র এটি। এ উপজেলা থেকে বরিশাল বিভাগীয় সদরের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার এবং বরগুনা ৩৭ কিলোমিটার। গ্রামের গরিবরোগীদের এতো দূরে গিয়ে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা নেওয়া সম্ভব নয়। এসব হত দরিদ্র,  নিম্ন ও মধ্য আয়ের ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবার নির্ভরশীল হতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

   আজ সকালে (৭ আগষ্ট) সরেজমিনে  গিয়ে দেখা গেছে,  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত রোগীদের জনপ্রতি রোগীকে একটি সিদ্ধ ডিম,  একটি বেকারির রুটি ও সবজির ভাজি দিতে দেখা গেছা।  ডিমগুলো ফার্মের এবং নিম্নমানের। এর অধিকাংশ ডিম নস্ট হয়েছে এবং পঁচে গিয়েছে। অথচ রোগীদের এসব পঁচা ডিমগুলো পরিবেশন করা হয়েছে। দুপুরে এবং রাতে রোগীদের খাবারে উন্নত মানের মাছ, দেশি মুরগী,  সবজি ও ডাল বরাদ্দ থাকলে সেখানে দেওয়া হচ্ছে নাম মাত্র ফার্মের  মুরগীর মাংস। মাছ ও সবজির মান নিম্নমানের। এছাড়া দুপুরে বা রাতে রোগীদের  খাবারের পরে যেসব খাবার থেকে যায় সেই খাবারের সাথে নতুন মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। ভর্তিকৃত একাধিক রোগী জানান,  পঁচে গিয়ে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে এমন খাবারও  কিছু নতুন খাবারের সাথে মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়।

খাবারের মান নিম্ন থাকায় ভর্তিকৃত দুই তৃতীয়াংশ রোগীই খাবার হোটেল রেস্তোরা থেকে কিনে নিতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছাকাছি ভালো কোন হোটেল নেই। রোগীদের স্বজনরা আধা কিলোমিটার দূরে বাজার থেকে খাবার কিনে নিচ্ছেন। গুরুতর অসুস্থ থাকায় কাছাকাছি থাকতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রোগীসহ স্বজনরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছে।

   স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত একাধিক রোগী জানান, তাঁদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয় এবং তাঁদের বাহির থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। রোগী নিভা রানী জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাবার খেয়ে আমি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ি।

এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. তেন মং বলেন,’ রোগীদের খাবার পরিবেশনের প্রতিবছর আলাদা দরপত্র হয় এবং ঠিকাদারের অধীনে খাবার পরিবেশন করা হয়। তবে আমি চেষ্টা করছি যাতে ভালো খাবার পরিবেশ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন,’ বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতার প্রমান পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।