কাজী জাহিদ |
বরিশাল শের ই বাংলা নার্সিং কলেজের এক শিক্ষার্থীর সাথে শীলতা হানি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রায় দের ঘন্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে হাসপাতালের পরিচালক এস এম সাইফুল ইসলামের আশ্বাসে কর্মসূচি থেকে উঠে আসে শিক্ষার্থীরা। সরজমিনে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায় শেবাচিমের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা নার্সিং কলেজের মিডিওফেরি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়াকে গায়ে হাত দিয়ে কুরুচি পূর্ণ আচরণ করে বহিঃ বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ তানিন জুয়েনা এর কক্ষে থাকা চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী ইফাদ স্বর্ণামত। তারা আরও জানায় শিক্ষার্থীর সুমাইয়া ডাক্তার দেখাতে গেলে ইফাত স্বর্নামত, তার হাত ধরে টানাটানি করে এবং গলায় থাকা শিক্ষার্থীর আইডি কার্ডের ছবি তুলে কুরুচিপূর্ণ কথা বলে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে নার্সিং কলেজে জানাজানি হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এ সময় প্রায় দেড় ঘন্টা জরুরী বিভাগের মূল ফটক আটকে বিচারের দাবিতে স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় নার্সিং কর্মকর্তাদের সাথে হাসপাতাল পরিচালক এস এম সাইফুল ইসলামের সাথে আলোচনার এক পর্যায়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী ইফাদ স্বর্ণামদকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিলে আন্দোলন থেকে উঠে আসে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক এস এম সাইফুল ইসলামের সাথে আলাপকালে তিনি সাংবাদিকদের জানাই বিষয়টা শুনেছে আন্দোলন থামানোর জন্য ইফাত স্বর্নামতকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং ৩ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।