এ.সি.ডি.অর্জুন, ভোলা |
“আমি বাংলার গান গাই,বাংলার কথা বলি,বাংলাই আমার প্রান” এই মনোভাবের সত্যিকার রুপ প্রতিফলিত হয় প্রতিবছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ১৪ ই এপ্রিল শুক্রবার বাংলা ১৪৩০ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ভোলা জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন প্রতিযোগীতা। ১৩ ও ১৪ ই এপ্রিল দুদিন ব্যাপী চলা প্রতিযোগীতা ও পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার(১৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয় শিশুদের চিত্রাংকণ, রচনা ও বাংলার সাজে সাজো প্রতিযোগীতা। সকাল সারে ৯ টায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ভোলার বিভিন্ন স্কুলের বিভিন্ন শ্রেনী ও বয়সের প্রায় শতাধিক শিশুকিশোর অংশগ্রহণ করে। ভোলা শিশু একাডেমি,জেলা কার্যালয়ের প্রতিযোগিতা স্থল ঘুরে দেখা যায় একডেমির বড় দুটি প্রশিক্ষণ কক্ষে শান্ত পরিবেশে চলছে চিত্রাংকণ, রচনা ও বাংলার সাজে সাজো প্রতিযোগিতা এবং শিশুদের সাথে আগত অভিভাবকদের বাহিরে বসিয়ে রেথে পরিস্থিতি ঠিক রাখার কাজ করছেন কর্তৃপক্ষ। এ সময় উপস্থিত ভোলা শিশু একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, “শিশুরা যেনো নিরিবিলি ও সুন্দর পরিবেশে প্রতিযোগিতা করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে সর্বাত্বক ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, ভোলার জেলা প্রশাসক ও শিশু একাডেমির সম্মানিত সভাপতি মোঃ তৌফিক-ই লাহী চৌধুরী মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতা ও নির্দেশক্রমে শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আজকের প্রতিযোগিতা চলছে এবং এদের মধ্যে থেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী প্রতিটি গ্রুপে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অধিকারীরা পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ তারিখ অনুষ্ঠিত মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হাত থেকে পুরুস্কার গ্রহণ করবে”। প্রতিযোগীতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মশিউর রহমান পিংকু,জয়বাংলা সাহা,ভাস্কর মজুমদার ও ঐশেরীয়া রায়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য এবারই প্রথম একজন প্রতিযোগী একটি মাত্র বিষয়ে প্রতিযোগীতা করতে পারবে ভিত্তিতে প্রতিযোগীতা হওয়ার ফলে একই শিশু একাধিক পুরুস্কার না পেয়ে বরং অধিক সংখ্যক শিশু পুরুস্কার অর্জন করার সুযোগ পেয়েছে এবং অংশগ্রহণকারী প্রতিটি শিশুকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদানের মাধ্যমে স্বস্ব প্রতিভা বিকাশে উৎসাহ প্রধান করেছে ভোলা শিশু একাডেমী।