এরশাদুল ইসলাম, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধির :-
বান্দরবানে কোভিড 19 টিকাকার কার্যক্রম শুরু সারা দেশের ন্যায় আজ থেকে বান্দারবানেও গণটিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব বীর বাহাদুর উশৈসিং।
আজ শনিবার (৭ আগস্ট ২০২১) সকাল ৯ঘটিকায় জাতীয় কোভিড-১৯ টিকা দিবসে বান্দরবান পৌর এলাকা সহ ০৭টি উপজেলা এবং ৩৩টি ইউনিয়ন এ টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য লামা উপজেলার ২১টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে বয়োবৃদ্ধ, নারী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
আপনার ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রেখে টীকা নিন। রেজিষ্ট্রেশন কার্ড সাথে রাখুন। এনআইডি কার্ড সাথে রাখুন। প্রতি ইউনিয়নে আপাতত ৬০০ টীকা দেয়া হবে বলেও জানা তিনি।
এবং লামা উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মোস্তফা জামাল বলেন, আমিও টিকা নিয়েছি আপনারা সবাই নিজের সুরক্ষার জন্য আপনার নিজ ইউনিয়ন থেকে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করে নিজে বাঁচেন এবং অন্য কে ও বাঁচান।
উক্ত বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আবু জাফর মো.ছলিম জানান,উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে এই গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সদর ইউনিয়নের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনটি বুথ করে প্রতি বুথে দুজন টিকা কর্মী ও তিনজন ভলান্টিয়ার দিয়ে এই কর্মসূচি চলছে। তিনি আরও জানান,একদিনে ছয়শজনকে টিকা দেওয়া হবে প্রতি ইউনিয়নে। দোছড়ি,বাইশারী,সোনাইছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নেও একইভাবে টিকা কার্যক্রম চলছে।
এই টিকার বিষয়ে সদর ইউপি ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রাশেদা বেগম জানান,তিনিও টিকা নিয়েছেন এবং অপরজনকেও টিকা গ্রহণে উৎসাহ প্রদান করছেন।
তবে জানা যায় সকাল ১১টার দিকে সদরে ১ং বুথে টিকার কোটা শেষ হয়ে যায় এবং অন্য বুথেও টিকার কোটা শেষ হওয়ার প্রান্তে। আরও জানা যায়,অন্যান্য ইউনিয়নে ও একই অবস্থা।
উল্লেখ্য,এই টিকার কার্যক্রম আগামী ১৪ থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। তবে নিয়মিত টিকার কার্যক্রম হাসপাতালে চলমান থাকবে।এতে দেখা গেছে, টিকা প্রত্যাশীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করে একেক করে টিকা নিচ্ছেন। কর্মসূচিতে বেশ কিছু রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক কাজ যাচ্ছেন।