ঢাকাবুধবার , ২২ মার্চ ২০২৩
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বৃষ্টিতে ভোলা চরফ্যাশনে ব্যাপক নষ্ট কাঁচা ইট ও তরমুজ চারা

এম এ অন্তর হাওলাদার |
মার্চ ২২, ২০২৩ ৯:২৭ অপরাহ্ণ । ৪৯ জন
Link Copied!
একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এম এ অন্তর হাওলাদার |
ভোলার চরফ্যাশনে হটাৎ করে গত রোববার (১৯ মার্চ) বিকাল থেকে সোমবার (২০ মার্চ) বিকাল পর্যন্ত দুইদিনের বৃষ্টিতে উপজেলার তরমুজ চারার ও কাঁচা ইটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ২২ টি ইটভাটার রাখা কমে বেশি সবগুলো ভাটার কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টিতে জমে যাওয়া পানিতে কাজ করতে না পারায় বেকার হয়ে পড়েছেন উপজেলার কয়েক হাজার শ্রমিক।
সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার রসুলপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ড অবস্থিত মেসার্স চমক ইট ভাটার ম্যানাজার নুর আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই রোববার বিকাল থেকে হঠাৎ বৃষ্টিতে তার প্রায় ৫ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে, যার তৈরিতে ব্যয় হয়েছে কয়েক লাখ টাকা। তিনি আরও জানান, ইট তৈরির পট নষ্ট হওয়ায় এটি কাজের উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত ২ শতাধিক শ্রমিক বেকার বসে আছেন তার ভাটায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইট তৈরির শ্রমিকরা জানান, দুইদিনের প্রচণ্ড বৃষ্টিতে তারা বেকার হয়ে বসে আছেন। যতদিন ইট কাটার পট না শুকাবে, ততদিন তাদের বেকার থাকতে হবে। প্রতিটি ভাটায় দেড় থেকে ২০০ শ্রমিক কাজ করে থাকেন। গড়ে প্রতিদিন প্রতি শ্রমিক ৫০০ টাকা আয় করেন। যতদিন কাজ করতে পারবেন না, ততদিন তারা এ ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে জানান তারা।
উপজেলার হাজারীগঞ্জের বাসিন্দা সদ্য নির্মাণকাজ শুরু করা ইটের সাধারণ ক্রেতা শাহাবুদ্দিন বলেন, বৃষ্টিতে ইট নষ্ট হলেই ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ ক্রেতারা। ভাটা মালিকরা তাদের ক্ষতি পোষাতে ইটের দাম বাড়িয়ে দেন। যার পুরোটাই গুনতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের। এবারও সেটাই হবে বলে মরবে করেন তিনি।
অন্যদিকে উপজেলার তরমুজ চাষীরা বিস্তীর্ণ ক্ষেতে তরমুজ গাছের চারা দেখে ভালো ফলনের আশা করেছিলেন। কিন্তু হটাৎ বৃষ্টিতে তরমুজ গাছের পাতায় পচন ধরার সম্ভব্যনা এবং গাছের আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। কৃষকরা সেচ, নালা কেটে পানি নিষ্কাষণ করলেও কিছু ক্ষেতের চারা বাঁচানো সম্ভব হবে না বলে মনে করেন। এবং বৃষ্টিতে সৃষ্ট ক্ষতির পাশাপাশি চারা রক্ষায় কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা ওষুধ গুলো নষ্ট হয়ে গেছে বলে মনে করেছেন কৃষকরা। ফলে ঋণ বা দাদনের টাকায় তরমুজ চাষ করা কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
উপজেলার জাহানপুর এলাকার তরমুজ চাষী সিরাজুল ইসলাম ও কাশেম জানান, দুইদিনের হটাৎ বৃষ্টিতে উপজেলার অনেক তরমুজ ক্ষেতে পানি জমে তরমুজ চারা হেলে পড়েছে। তবে বালিযুক্ত ক্ষেতের চারা বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টি কমলে চারা বাঁচানো সম্ভব। আর যদি বৃষ্টি না কমে তাতে তরমুজ চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে মনে করেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার ওমর ফারুক বলেন,
এ বছর তরমুজ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৮২৭ হেক্টরেরও বেশি। তবে এ উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নের মধ্যে কমবেশ সব ইউনিয়নে তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে গত দুই দিনের বৃষ্টিতে কিছু হেক্টর জমির উঠতি চারার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তিনি।