আঃ রহিম, ভোলা প্রতিনিধি :-
প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ৪ ঠা অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
গত রোববার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বাগেরহাট- মোট ২০টি জেলার নদ-নদী, মোহনা ও সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, জামালপুর, রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, কুষ্টিয়া ও নড়াইল জেলার নদ-নদীতেও ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
সরকারের প্রশাসন থেকে কঠোর নজরদারি থাকা স্বত্বেও প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে বোরহানউদ্দিনের পক্ষিয়া ইউনিয়নের দিদার মাঝি ঘাট, মাতাব্বর ঘাট, মির্জাকালুর সুলিজ ঘাট গুলোতে রাত ৩ টার পর থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে মাঝিরা নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যায়। এবং স্থানীয় প্রভাবশালীর নেতৃত্বে গভীর রাতে মেঘনা নদীতে চলছে মা”ইলিশ নিধন।
জেলেদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন- যেই ২২ দিন মাছ ধরা নিষেধ করছে কিন্তু আমাদের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়নি – আমাদের নদী ছাড়া কোন আয়ের পথ নাই। এই জন্য পেটের দায়ে আমরা আইনকে অমান্য করে নদীতে যাই।
মৎস্য অফিসারের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন -প্রভাবশালী হউক বা যেই হোক কাউকেই আমরা ছাড় দিবোনা – যারা আইন – কানুন মানবেনা সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।