স্টাফ রিপোর্টার :-
ভোলাভোলার মেঘনা নদীতে মালবাহী কার্গো জাহাজে ডাকাতির চেষ্টাকালে দূই জলদস্যুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এরা হলো-মোঃ জামান (৪৫) ও মোঃ কামরুল ( ৩০)। রোববার (১৭অক্টোবর) দূপুরে জেলা সদর ভোলার ধনিয়া জোড়া খাল নামক এলাকার মেঘনা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে এঘটনা ঘটে। কোস্টগার্ড সূত্র জানায়,নদীতে চলমান মালবাহী কার্গো জাহাজ থামিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে কোস্টগার্ড দক্ষিন জোনের সদস্যরা সেখানে আকস্মিক অভিযান চালায়।
এসময় এই দূই ব্যাক্তিকে আটক করেন তারা। জলদস্যুদের আক্রমনের শিকার জাহাজ এমভি হারুন’র সুকানী সবুজ এমভি শহিদুল্লাহ নামক জাহাজের সুকানী আবুল হোসেন, এমভি সাদিয়া-নাদিয়া নামক জাহাজ সুকানী শামীম ও এমভি রিয়াজ নামক জাহাজের সুকানী নাগর আলী জানান,তারা সর্বমোট ৭টি জাহাজ সিলেট এবং সুনামগঞ্জ ও ছাতকসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাল বালু বোঝাই করে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্য যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ভোলার ধনিয়ার জোড়া খাল নামক এলাকায় আসলে ১০/১২ জনের জলদস্যুদল ট্রলারযোগে এসে তাদের গতিরোধ করে জাহাজে উঠে সকলকে মারধর শুরু করে। তারা জাহাজ স্টাফদের উপর হামলা করে টাকা-পয়সা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে কোস্টগার্ডকে অবহিত করলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন। এসময় অন্যান্য জলদস্যুরা পালিয়ে গেলেও দুইজনকে আটক করে ফেলেন কোস্টগার্ড।

সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে ওই এলাকায় গেলে স্থানীয়রা জানান, আটককৃত জলদস্যুরা মেঘনার দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার ফারুক বাহিনীর সক্রীয় সদস্য। সাম্প্রতিক সময়ে এ বাহিনী ভোলার মেঘনার শাহবাজপুর নৌ-চ্যানেলে বিভিন্ন মালবাহী জাহাজে হামলা ও গনলুট চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে হামলা ও ডাকাতির ঘটনায় সোমবার এমভি রিয়াজের সুকানী নাগর আলী বাদী হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় হামলাকারীদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, দুইজনকে আটক করে কোস্টগার্ড থানা পুলিশে সোপর্দ করলে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহন করা হয়।