এ.সি.ডি.অর্জুন, ভোলা |
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গভির রাতে বর্বর পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র বাংঙ্গালীর ওপর গণহত্যা চালিয়ে অগণিত বাংঙ্গালীকে হত্যা করেছিলো। সেই ঘটনা থেকেই পূর্ব পাকিস্থানের আপামর বাঙ্গালী জনতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর ডাকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরে এবং ১৬ ই ডিসেম্বর’৭১ চুড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে উদিত হয় নতুন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ। তাই বর্তমান সরকার ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষনা করে এবং প্রতিবছর নানান আয়োজনে দিনটিকে উদযাপন করা হয়। তারই আলোকে শনিবার(২৫ মার্চ’২৩) গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। সভার সভাপতি ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক-ই-লাহী-চৌধুরী এর অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) তামিম আল ইয়ামিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) বিবেক সরকার। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিপন কুমার সাহা, ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল ও ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম সহ বিভিন্ন দপ্তরের জেলা কর্মকর্তাগণ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়ায়ুল হাসান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা সকলেই ২৫ মার্চ’৭১ রাতে ঘটানো গণহত্যাকে সিকৃতি দেয়ার জন্য পাকিস্থান সরকারের প্রতি জোড় দাবী জানানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপক ত্রিপুরা, জসীম উদ্দিন, আরাফাত হোসেন সহ সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, সন্ধ্যায় ভোলা শহরের যোগিঘোলে অবস্থিত বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বলন এবং রাত ১০.৩০ টায় ১ মিনিটের জন্য প্রতীকী ব্লাকআউট পালন করার আয়োজন করে ভোলা জেলা প্রশাসন।