আঃ রহিম, ভোলা প্রতিনিধিঃ-
ভোলায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনের চায়ের দোকানদার বশির ওরফে দালান বশির পাসপোর্ট অফিস সহকারীর নাম ভাঙ্গিয়ে গিলে খাচ্ছে পুরো পাসপোর্ট অফিস।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় চায়ের দোকানি বশির ওরফে দালাল বশির ভোলার দূর-দূরান্ত থেকে আসা অসহায় ও সহজ সরল গ্রামের মানুষদের পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার নাম করে ভোগান্তিতে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ভোলার ব্যাংকের হাট, ভেদুরিয়া সহ চরফ্যাশন, আনজুর হাট, দুলারহাট ও চরফ্যাশন শরীফ পড়ায় রয়েছে তার নিজের বানানো, এজেন্ট ওই এজেন্টের মুঠোফোনের মাধ্যমে তার কাছে চলে আসে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা, ওই টাকা থেকে কমিশন পায় বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন এজেন্টরা।
মাঝখানে গুটি লাল, চায়ের দোকানি বশির ওরফে দালাল বশিরের, কামিয়ে নিচ্ছে অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা। ভোগান্তি ঘুরপাকে ও কথার জালে পেচিয়ে গ্রামগঞ্জে থেকে আসা সহজ সরল মানুষদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা সহজ সরল মানুষদের মাসের পর মাস ভোলার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সার্ভারে সমস্যা বৈদ্যুতিক সমস্যা পাসপোর্ট অফিসের স্টাফ এর সমস্যা বলে চালিয়ে নিচ্ছে তার অবৈধ কর্মকান্ড গুলো। জনমনে প্রশ্ন ভেতরের লোকজনের কারসাজিতেই চলছে বাহিরে বশিরদের মত দালালদের রাজত্ব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই চায়ের দোকানি বশির ওরফে দালাল বশির ভোলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের দালালিতে তার অনেক সুনাম রয়েছে। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস যখন ডিসি অফিসে ছিল তখনো তার দালালি রাজত্বের কমতি ছিলনা। এরপর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস তিনখাম্বায় থাকা কালীন তখনো এই দালাল বশির ছিল দালালির শীর্ষে। সর্বশেষ ভোলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস তিনখাম্বা থেকে স্থান পরিবর্তন করে চরনোয়াবাদ আলতাজের রহমান ডিগ্রী কলেজ এর সামনে হস্তান্তর হয়েছে। এই দালান বশির উল্লাসে আত্মহারা মনে মনে মিষ্টিও বিতরণ করেছে এর কারণ ভোলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এখন তো তার বা হাতের মুঠোয়।
সংবাদকর্মী নিজেই গ্রাহক সেজে এই দালাল বশিরের সঙ্গে মুঠোফোনে পাসপোর্ট এর বিষয়ে আলোচনা করলে এই দালাল বশির ১২০০০ হাজার টাকা দাবি করে বলেন পুলিশকে টাকা দিতে হয়, অফিস খরচ দিতে হয় পুলিশ ও অফিস খরচ দিয়ে আমার হাতে শামান্য কিছূ থাকে। আমার হাতে আরো কয়েকটা পাসপোর্টের কাজ আছে আপনি যদি আগামীকাল ১২০০০ হাজার টাকা নিয়ে আসেন তাহলে আপনার পাসপোর্ট, তিন দিনের ভিতরে আপনার হাতে দিতে পারব।
এ বিষয় ভোলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এর সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।