বাংলাদেশ জনপদ, রিপোর্টার :-
ভোলা রেবা রহমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ এমরান কয়েক লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের কর্ম সম্পাদন করেছেন। ওই বাণিজ্যের টাকা নিয়ে তিনি গত ১২, অক্টোবর, ২১ তারিখে 20 শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। অধ্যক্ষ এমরান নিয়োগ বাণিজ্যের অর্থ গ্রহণ পূর্বক গত 20 অক্টোবর একই সাথে অফিস সহকারি ১ জন, ল্যাব সহকারী ২ জন ও একজন আয়া নিয়োগ দিয়েছেন। এতে ৩২ লাখ টাকা বাণিজ্য করে ৩টি পদে মোট ৪ জনকে নিয়োগ নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয় মোঃ মাহাবুব আলম পিং- মোঃ হানিফ শরীফ, মাতা- হাসিনা বেগম নামে ওই ব্যক্তিকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেন। এ নিয়োগ কার্যক্রম এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গত ১৬ অক্টোবর অভোলা রেবা রহমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নিয়োগ বাণিজ্য ||নুষ্ঠিত হয়। অফিস সহকারী পদেই ১০ লক্ষ টাকা বাণিজ্য লাভ করা হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ কৃত মাহাবুব আলমের ব্যাপারে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে নিয়োগপ্রাপ্ত মাহবুব আলম বিদ্রোহের রাষ্ট্রদ্রোহী দন্ডপ্রাপ্ত আসামী। ফলে তিন চাকরিচ্যুত হন। ২০১০-২০১৫ সাল পর্যন্ত কারা ভোগ করার পর ২০১৫ সালের মার্চ মাসে জেল থেকে মুক্তি পান।
বিতর্কিত এ ব্যক্তিকে অফিস সহকারি পদের নিয়োগ দেওয়ায় কলেজ অভ্যন্তরসহ অভিভাবক মহলের ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিসহ কমিটির সদস্যদের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসীসহ অভিভাবক মহল। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ এমরান মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে আলাপ করা হলে তিনি জানান, নিয়োগ বোর্ডে যারা ফাস হয়েছে তাদেরকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।