স্টাফ রিপোর্টার :-
কুষ্টিয়ার মিরপুরে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের পাঁচ বছরের এক শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম প্রেস ব্রিফিং করে জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর উপজেলার মশান শাহপাড়ার বাইপাস ক্যানেল থেকে জান্নাতুলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ফুফু জহুরা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।
পরে জহুরা শিশুটিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস মিরপুর উপজেলার মশান শাহপাড়া এলাকার জাহিদুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ সুপার জানান, গত রবিবার নিহত জান্নাতুলের মা ও ঘাতক জহুরার ভাবি আঁখি বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় ননদ জহুরাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন আঁখি বেগম। কোনো প্রতিবাদ না করে রাগ-ক্ষোভ মনের মধ্যে রেখে দেন জহুরা খাতুন। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রতিদিনই ফুফুর বাড়িতে যাতায়াত করত শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস।
ঘটনার দিন সোমবার বিকেল জান্নাতুল ফুফুর বাড়ি যায়। এ সময় ফুফু জহুরা মাংস খাওয়ার কথা বলে জান্নাতুলকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। প্লেট ধোয়ার কথা বলে রান্নাঘর থেকে বটি নিয়ে এসে জান্নাতুলের গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে জহুরা খাতুন। পরে বাজার করা বড় ব্যাগে জান্নাতুলের লাশ ভরে পার্শ্ববর্তী ক্যানেলের পাশে ফেলে দেয়। পরে পুলিশ ট্রিপল নাইন থেকে ফোন পেলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
জান্নাতুল ফেরদৌসের মা আখি খাতুন বলেন, আমার ননদ আমার মেয়েকে জবাই করে হত্যা করেছে। মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি দাবি করে তিনি বলেন, আমার বুক খালি করেছে আমার আপন ননদ। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ফুপু ও ফুপাকে আটক করা হয়েছে এবং পরে আটক ফুপু শিশুটিকে বটি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।