আসাদুল ইসলাম সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা, প্রতিনিধিঃ-
বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে থাকা সোনালি ফসল কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ২১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন।চলতি রোপা আমন মৌসুমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১৫ ইউনিয়নে আমন ধানের চাষ হয়েছে।লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৯৫ হেক্টর বেশি জমিতে শস্যটির আবাদ করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। শুরু হয়ে গেছে সোনালিধান কাটা। কৃষকের মুখে তাই ফুটেছে হাসি।কৃষক সফিকুল বলেন, তিনি গুটি স্বর্ণা ধানের আবাদ করেছিলেন। ধান পেকেছে, কাটা শুরুও করেছেন। তারক্ষেতে অনেক ধান হয়েছে। বাজারে নতুন ধানের দামও বেশ। তাই তিনি খুশি।
একই এলাকার কৃষক আব্দুল রশিদ বলেন, তিনি ধানিগোন্ড-এসিআই ধানের চাষ করেছেন। এ ধান আগাম পাকে। তারপরিবারের লোকজন ধান কাটা ও শুকানোর কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এবার পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক খেতে ধান পেকে সোনার বরণ ধারণ করেছে।সোমবার পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশেদুল কবির জানান, এবার আমন ধান ৭ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে।উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ২১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় ধানের খেতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণহয়নি।
তিনি আশা করেন, এবার আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।