ঢাকাশনিবার , ১ এপ্রিল ২০২৩
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজাপুরে রাস্তার মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত

কাজি জাহিদ, বরিশাল |
এপ্রিল ১, ২০২৩ ৮:১৭ অপরাহ্ণ । ৫০ জন
Link Copied!
একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাজি জাহিদ, বরিশাল |

রাজাপুরের কানুদাস কাঠি গ্রামের রাস্তার মাটিকাটা কে কেন্দ্র করে ৩ জনকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।গত শুক্রবার ও আজ শনিবার দুই দফা এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহতরা হলেন কানুদাস কাঠি গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদারের ছেলে ফেরদৌস হাওলাদার (২৭) মিজানুর রহমান (২৪) ও মোঃ মিরাজ তালুকদার (২৫)।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজাপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে গুরুতর আহত মিজানুর রহমানের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে প্রেরণ করে।

আহত সূত্রে জানা গেছে গত ৩১ মার্চ শুক্রবার রাজাপুরের কানুদাস কাঠি গ্রামের আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে আব্দুর রাজ্জাক মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত সড়কের মাটিকাটা নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ সময় এলাকার বিভিন্ন লোকেরা জমির মাটি কাটে রাস্তার উন্নয়নের জন্য।

এবং একি এলাকার আব্দুস সালাম এর জমির মাটি কাটার সময় আব্দুস সালামের ছেলে গোলাম রাব্বি মাটি কাটতে বাধা দিতে শুরু করে। এ সময় ফেরদৌস হাওলাদার তার বাবা থাকতে তাকে কথা বলতে বারণ করায় ক্ষিপ্ত হয় গোলাম রাব্বি।

আর এরই জের ধরে বিকেল সাড়ে ৫ টায় আব্দুস সালাম মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে বাজারে ইফতারি আনতে যাওয়ার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে পূর্ব কানুদাস কাঠি আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সামনে বসে আব্দুস সালাম, গোলাম রাব্বি, আবুল বাশার, রিন্টু হাওলাদার, পলাশ হালাদার সহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন লাঠি ও রড নিয়ে ফেরদৌস হাওলাদার ও তার সাথে থাকা মিরাজ তালুকদার কে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে।

পরবর্তীতে আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেখান থেকে উদ্ধার হয়ে বাড়ি ফিরে ফেরদৌস ও মিরাজ।এখানেই ক্ষ্যান্ত নয় এরই ধারাবাহিকতায় ১ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় ফেরদৌস হাওলাদারের ছোট ভাই মিজানুর রহমান বাজারে তার দুলাভাইয়ের কাছ থেকে পাওনা টাকা আনতে গেলে টাকা নিয়ে আসার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পূর্ব কানুদাস কাঠী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে পুনরায় আব্দুস সালাম হাওলাদার,তার ছেলে গোলাম রাব্বি, আবুল বাশার,রিন্টু হাওলাদার, পলাশ হাওলাদার সহ আগত ৮/১০ জন লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মিজানুর রহমান কে এলোপাতারি পেটাতে শুরু করে।

খবর পেয়ে মিজানের ভাই ফেরদৌস তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও পিছে গুরুতর জখম করে।

এ সময় মিজানের সাথে থাকার নগদ ২০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।বর্তমানে মিজানুর শেবাচিমের সার্জারি মুমূর্ষ অবস্থায় অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।ও অপর আহতরা রাজাপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।