জাকারিয়া খান বিটন,
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ-
উন্নয়নের ছোয়া যখন দেশের সব জায়গায় জ্বলজ্বল করছে ঠিক সেই মহুর্তে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের দুটি মৌজা চর বিদ্যানন্দ ও চর তৈয়ব খায় এখনো উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।এই চরাঞ্চলে দশ হাজার লোক বসবাস করলেও বিস্তৃর্ণ এলাকায় সবুজের সমারোহে দেখা যায়নি কোন রাস্তাঘাট।একরের পর একর জমি জুড়ে ধান ক্ষেত কোথাও কোন পা ফেলার জোঁ নেই।পায়ে হেটে ক্ষেতের পাশের ছোট্ট আইল দিয়ে যাতায়াত করতে হয় পথচারীদের।এখানকার প্রধান শস্যগুলি হচ্ছে ধান,পাট,আলু,গম,মরিচ,পিয়াজ,বাদাম,ভূট্রা ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি।যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে চলাফেরা করা যেমন খুবই দুঃসাধ্য হয়ে পরেছে তেমনি যাতায়াত ব্যবস্থার অভাবে কৃষক যথা সময়ে তাদের উৎপাদিত শস্য বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্য মুল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।ফলে কৃষি শস্য কেনাবেচা করতেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের।যানবাহন চলাচলের মত নেই কোন রাস্তা।ঘাড়ে করে বহন করতে হয় মাড়াইকৃত শস্য।শস্য পরিবহন নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় কৃষকদের।প্রাইমারীর শিক্ষা শেষে ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।এই চরাঞ্চলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পড়া লেখা বাদ দিয়ে অল্প বয়সে বিয়ের পিরিতে বসে সংসার জীবন শুরু করছেন।বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চরাঞ্চলে তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ পাশ্ববর্তী দলদলিয়া ইউনিয়নের রতিদেব প্রাথমিক বিদ্যালয়,পীরগাছা ইউনিয়নের রামশিং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২হাজার ছেলেমেয়ে পড়াশুনা করে।৫ম শ্রেণী পাশ করার পর অনেক দূরে মাধ্যমিক স্কুল হওয়ায় প্রায় ৯০% শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনা।স্বাস্থ সেবা নিয়েও রয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।চর বিদ্যানন্দের প্রায় ৬হাজার মানুষের বিপরীদে একটি মাত্র কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে যা সবার স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব নহে।বিশেষ করে অল্প বয়সে বিয়ে হওয়া গর্ভবর্তী মেয়েদের ডেলিভারি করার মত নার্স বা আয়া নেই এই ক্লিনিকে।স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুস আলী বলেন আমরা চরবাসী খুব কষ্টে চলাচল করছি এতোগুলো মানুষ বাস করি এই চরে অথচ একটা রাস্তাও নেই।অনেক বার অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার ও ইউপি চেয়ারম্যান কে রাস্তা করে দেওয়ার কথা বললেও কোন কাজ হয়নি।অথচ ৬২/৯২ রিকর্ডকৃত রাস্তার দুপাশে কাটতে কাটতে আজ আইল হয়ে গেছে।কোন রকমে পায়ে হাটা যায় আবার কোথাও কোথাও পানিতে তলিয়ে যায়।তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি মানবতার মা আমরা কিচ্ছু চাইনা শুধু রাস্তাটা করে দিন।স্থানীয় যুবক কাদের বলেন আমাদের চরে প্রায় ৭/৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে কিন্তু একটিও মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই,একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হত আমার চরাঞ্চলের মানুষ কমে যেত বাল্যবিবাহ সহ অন্যান্য অপরাধ।তাই আমি সরকারের কাছে দাবী জানাই আমাদের এই চরে যেন একটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় করে দেন সরকার।
স্থানীয় যুবক সাদেকুল ইসলাম সাদেক বলেন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে জনবল বাড়ানো দরকার বিশেষ করে একজন নার্স হলে আমার চরের নারীদের সুচিকিৎসা শতভাগ নিশ্চিত করা যেত।