ভোলা প্রতিনিধি :-
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সরকারের দেওয়া লকডাউনে দীর্ঘদিন নৌযান বন্ধ থাকায় রাজধানীমুখী যাত্রীরা আটকে পরেন। আজ থেকে সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযারী লকডাউন শিথিল করায় স্বাভাবিক ভাবে শুরু হয় নৌযানসহ সকল যানবাহন।
নৌযান চলাচলের প্রথম দিনে ভোলার লঞ্চঘাটগুলোতে ছিলো ঈদের আমেজ, লঞ্চে অবশিষ্ট জায়গা ছিলো না যাত্রী নেওয়ার, কানায় কানায় ভরে গেছে যাত্রী এবং সকল লঞ্চের কেবিন ও দিবা সার্ভিস গ্রীণ লাইনের সকল চেয়ারকোচ বুকিং হয়ে জাহাজের নিচে সিট করে বসেছে অনেক যাত্রীরা।
এদিকে গাদাগাদি করে যাত্রী উঠলেও একতৃতীয়াংশ যাত্রীর মুখে ছিলো না মাস্ক।
তবে যাত্রীরা জানান, লঞ্চ স্টাফরা কেবিন সিন্ডিকেট করে তাদের হয়রানী করেছে ছালমা বেগম নামের এক যাত্রী বলেন একটি লঞ্চ কাউন্টারে কেবিন বুকিং এর জন্য ফোন করলে তারা না করে দেয় কিন্তু ঘাটে এসে দেখি অতিরিক্ত দামে সেই লঞ্চে কেবিন বুকিং দিচ্ছে।
সুমন নামের এক যাত্রী বলেন, লঞ্চের স্টাফরা তাদের নামে বেনামে কেবিন বুকিং দিয়ে ঘাটের যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত টাকায় বুকিং দিয়ে থাকে।
এম ভি ভোলা,কিস্টাল ক্রুজ, কর্ণফুলী -১০ লঞ্চে কথা বলে জানা যায় একদিন আগেই তাদের সকল কেবিন বুকিং হয়ে যায়।
দিবা সার্ভিস গ্রীণ লাইনের ম্যানেজার লক্ষণ চন্দ্র জানান, আমাদের চেয়ারকোচ ৬শ সবই বুকিং। এ সময় গ্রীণ লাইনের ফ্লোরে যাত্রীদের সিট করে বসতে দেখা যায় এবং স্টাফদের সকল কেবিন ও বুকিং হয়।
অতিরিক্ত ভাড়া এবং গাদাগাদি করে গেলেও লকডাউন শিথিল করায় স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মাঝে।