ঢাকারবিবার , ১২ মার্চ ২০২৩
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমোহনে বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূ হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

 এম এ অন্তর হাওলাদারঃ
মার্চ ১২, ২০২৩ ১০:৪৭ অপরাহ্ণ । ১৩ জন
Link Copied!
একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 এম এ অন্তর হাওলাদারঃ
ভোলার লালমোহনে বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূ স্বপ্না বেগম হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের দেওয়ানকান্দি এলাকায় এ মানববন্ধন হয়।
লালমোহন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন, হত্যার শিকার গৃহবধূর বাবা মো. আলমগীর, ভাই মো. রিয়াজ ও দুই সন্তানসহ ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অন্তত পাঁচশত নারী-পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, নিখোঁজের দুই দিন পর গত ৭ই মার্চ দুপুরে দেওয়ানকান্দি এলাকা থেকে বাকপ্রতিবন্ধী স্বপ্নার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় পুলিশ ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার আলামত পেয়ে তদন্তের মাধ্যমে ওইদিন রাতেই নাজিম ও আনোয়ার নামের দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে তারা স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়। তাই তাদের দ্রæত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন বক্তারা। গ্রেফতারকৃত নাজিম লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের দেওয়ানকান্দি এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে এবং আনোয়ার একই এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে।

উল্লেখ্য গত ৫ মার্চ রাতে উপজেলার দেওয়ানকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ২ সন্তানের জননী বাকপ্রতিবন্ধি স্বপ্না বেগম (২৮)। নিখোঁজের দুই দিন পর গত ৭ মার্চ দুপুরে প্রতিবেশি মিঝি বাড়ির বাগানের ডোবার মধ্য থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত স্বপ্নার ভাই রিয়াজ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে লালমোহন থানায় মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত করেন লালমোহন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান। এরপর ওই দিনই স্বপ্না হত্যার ক্লু বের করে হত্যাকারী একই এলাকার নাজিম ও আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর নাজিম ও আনোয়ার স্বপ্নাকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় গৃহবধূ স্বপ্নাকে ধর্ষণের আলামত পেয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর পুরোদমে তদন্ত শুরু করি। ঘটনার পরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিল আনোয়ার। ৭ মার্চ রাত ১২টার দিকে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট দিয়ে পালানোর সময় আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে একই দিন সন্ধ্যার দিকে গ্রেফতার করা হয় নাজিমকে।