মোঃআসাদুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ-
তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে কঞ্চিবাড়ি ও শ্রীপুর ইউনিয়নে ব্যালট বাক্স ও পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ফলে দুই ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ওই দুই ইউনিয়নের নির্বাচনে লড়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বাদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীসহ ৪৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ও শ্রীপুর ইউপির ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যতীত বাকী ১১ ইউপিতে ৮২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনের বিধিনুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পাওয়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪, জাতীয় পার্টি মনোনীত ২, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনীত ১, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল-জাসদ মনোনীত ১ জন ও ৩৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জাহেদুল ইসলাম জাবেদ (ঘোড়া), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল মতিন সরকার (চশমা) ও মো. সহিদুর রহমান (অটোরিক্সা)। সোনারায় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ্রী রনজিৎ কুমার সরকার (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচএম মতিয়ার পারভেজ (মোটরসাইকেল) ও মো. আব্দুর রাজ্জাক (আনারস)। তারাপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল আলা মওদুদী সরকার (আনারস), মো. নুরুজ্জামান সরকার (চশমা) ও মো. শাহজাহান কিবরিয়া (অটোরিক্সা)। বেলকা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (আনারস)।
দহবন্দ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরাফাত উল ইসলাম (আনারস)। সর্বানন্দ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. মশিউর রহমান সরদার (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম নুরুন্নবী (আনারস), মো. আজাদুল ইসলাম আজাদ (টেলিফোন), মো. রাশেদুল ইসলাম (অটোরিক্সা) ও মো. শাহজাহান মিয়া (ঘোড়া)। রামজীবন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সাদেকুল ইসলাম সরকার (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এটিএম এনামুল হক মন্টু (লাঙ্গল), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক (গামছা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইদ্রিস আলী (দুটি পাতা), মো. জিয়াউল হক (অটোরিক্সা), মো. সোলায়মান হোসেন (মোটরসাইকেল) ও মো. হাবিজার রহমান (ঘোড়া)।
ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী খান মোহাম্মদ আলী (আনারস), মো. আমিনুল ইসলাম আকন্দ (টেবিল ফ্যান) ও মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সুজা (মোটরসাইকেল)। ছাপড়হাটী ইউনিয়নে জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল-জাসদ মনোনীত প্রার্থী মো. মামুন উর রশীদ প্রামানিক রুবেল (মশাল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. জোৎ¯œা বেগম জনতা (আনারস), মো. আসাদুজ্জামান (দুটি পাতা), মো. তারা মিয়া (ঘোড়া) ও মো. শরিফুল ইসলাম (রজনীগন্ধা)। শান্তিরাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. বিপ্লব খন্দকার (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছামিউল ইসলাম (দোয়াত কলম), স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম জাহিদুল করিম (রজনীগন্ধা), একেএম মোস্তফা কামাল (আনারস), এমএ ছোলায়মান সরকার (ঢোল), মো. আব্দুর রশীদ (টেবিল ফ্যান), মো. আব্দুল মজিদ মিয়া (অটোরিক্সা), মো. আব্দুল মান্নান সরকার হান্নান (ঘোড়া), মো. বদরুল আমিন (চশমা), মো. মিজানুর রহমান (টেলিফোন) ও মো. সাইফুল ইসলাম (মোটরসাইকেল)। কাপাসিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল আজম সরকার (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুর রহিম সরকার (আনারস), মো. জলিল সরকার (মোটরসাইকেল), মো. জামাল উদ্দিন (অটোরিক্সা) ও মো. বাদশা মিয়া (ঢোল)।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার আলী বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমার সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে পাঁচ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে হলে ওই ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রগুলোতে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেতে হয়। ১১ ইউনিয়নের ৪৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ওই পরিমাণ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।