গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ভূমিহীনদের ফুসলিয়ে খাস জমির দলিল পার করে দেয়ার নামে ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক ইউপি সদস্য।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চর খোর্দ্দা গ্রামের মৃত হায়দার মন্ডলের ছেলে একাব্বর আলী (৭০), মৃত ভেকু শেখের ছেলে ছোররাব আলী(৭০), মৃত মজিবর মণ্ডলের ছেলে ওয়াজেদ আলী(৪০) যখন তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে বাপ-দাদার পৈতৃক ভিটা-মাটি হারিয়ে সরকারি
খাস জমিতে কোনমতে মাথা গোঁজানোর ঠাই করে নিয়েছেন। তখন গত ৩ মাস পূর্বে ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ঘঘোয়া গ্রামের মহুবর রহমানের ছেলে মিঠু মিয়া (৪২) বিভিন্ন সময়ে গিয়ে তাদের ভয় দেখিয়ে বলেন যে,সরকারি খাস জমিতে থাকেন সরকার যেকোন মহুর্তে তোমাদের উচ্ছেদ করে দিবে। আমার সাথে নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি কমিশনারের সু-সম্পর্ক আছে আমাকে ৭ লক্ষ টাকা দাও উক্ত খাস জমির খাজনা-খারিজসহ তোমাদের নিজেদের নামে দলিল পার করে দেব। এতে সাড়া দিয়ে ভূমিহীন একাব্বর আলী ও তার ছেলে জমশের আলী(৩০) বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয়টুকু রক্ষার্থে আছলা ঝোলা সব বিক্রি ও লোন করে গত ০৩/১১/২১ ইং তারিখে মিঠু মেম্বারকে দাবীকৃত ৭ লক্ষ টাকা একযোগে বুঝিয়ে দেন। পরে গত ০১/০১/২২ইং তারিখে মিঠু মিয়া দলিল নং-২৮৫৩, তারিখ-১৯/০৩/১৯৬৩ ইং ও দলিল নং-৮৯৫২, তারিখ ০৬/১০/১৯৮৩ইং সালে সম্পাদিত ২টি দলিলসহ খাজনা খারিজের রিসিভ কপি জমশের আলী কে প্রদান করেন। ওইসব কাগজ পত্র ভূমি অফিসে যাচাই-বাছাই করতে গেলে ওগুলো জাল ও ভুয়া বলে প্রতিপন্ন হয়। যার কারণে ভুক্তভোগীরা ইউপি সদস্য মিঠু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে জাল দলিলে কথা বলে প্রদানকৃত টাকা ফেরত চায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠু মেম্বার তাদেরকে প্রাননাশের হুমকি দেয়। এঘটনায় অসহায় একাব্বর আলী বাদি হয়ে মিঠু মিয়াকে আসামি করে থানা মামলা দিয়েছেন।