মোঃ আসাদুল ইসলাম,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ
আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়।
এ স্কুলের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৩৮। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় বিশেষভাবে অবদান রাখেন তৎকালীন রংপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল মজিদ। সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতে তার নাম অনুসারে এ বিদ্যালয়ের নাম করন করা হয়েছে কিন্তু আমাদের গাইবান্ধার কৃতি সন্তান খান বাহাদুর আব্দুল মজিদ যিনি গাইবান্ধা শহরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেন বেশ কয়েকটি হাই মাদ্রাসা ও জুনিয়র মাদ্রাসা তৈরি করেন। তিনি সমবায় আন্দোলন গড়ে তোলেন ও কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক এর প্রধান হিসেবে ভুমিকা রাখেন। ইংরেজ আমলে তিনি খান বাহাদুর উপাধি লাভ করেন। তিনি অনারাবি ম্যাজিস্ট্রেট ও রংপুর জেলাবোর্ড এর সদস্য ছিলেন। অনেকের মতে তার নাম অনুসারে এ বিদ্যালয়ের নাম করন করা হয়েছে।
এ স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক খোকন চন্দ্র দও,
সেক্রেটারি ছিলেন সুকুমার সিধার্থ।
বিদ্যালয়টির কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য তৎকালীন সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান সংগ্রহ করে স্কুলের ফান্ড সংগ্রহ করা হতো এবং দুূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য জায়গীর ব্যাবস্থা করেছিলো এলাকাবাসী ।
★সুন্দরগঞ্জ আমিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
বিদ্যালয়টি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয় জনগনের উদ্যোগে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিদ্যালয়টির জন্য জমি দান করেন স্থানীয় সমাজসেবী কাজী আব্দুল খালেক। প্রতিষ্ঠানটির জন্য সবচেয়ে বেশি নৈতিক এবং অর্থিক অনুদান ব্যাবস্থা করেন তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী। সাধারণ জনগন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে তার স্ত্রী অামিনা বেগম এর নামে নামকরণ করেন।
৫০/৬০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠান টির প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন খেতাব উদ্দিন বসুনিয়া। যিনি বিনা পারিশ্রমিকে পাঠদান করতেন। এছাড়া ব্যাস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন নীরেন্দ্রনাথ রায়।
১৯৮৫ সালে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বিদ্যালয়টিকে সরকারিকরন করেন।
★বেলকা এম.সি উচ্চ বিদ্যালয়
প্রথমত এ স্কুলটি ছিলো এম.ই স্কুল ( মিডল ইংলিশ)।
এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৯১৩ সালের ১লা জানুয়ারি। এ স্কুলটি পরবর্তীকালে ১৯২০ সালে হাইস্কুলে পরিনত করা হয়। স্কুল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন তৎকালীন মুর্শিদাবাদ কাশিমবাজারের মহারাজ মনীন্দ্র চন্দ্র নন্দী। তিনি স্কুলের জমি ও আড়াই’শ ফুট ভবন নির্মাণ করে দেন এবং ১৯২০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক ৬০০ টাকা হারে টেস্ট গ্রান্টের ব্যবস্থা করেন। তার নাম অনুসারে এ বিদ্যালয়ের নাম করা হয় বেলকা এম. সি. উচ্চ বিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠানটির প্রথম সম্পাদক ছিলেন হরিপুর ইউনিয়নের সমাজসেবক হরিমোহন সরকার ও প্রধান শিক্ষক ছিলেন দীবাকর চ্যাটার্জী এছাডাও এই প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট ছাত্র ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী দেবব্রত মজুমদার, সাহিত্যিক শামসুল হক ও এস এম সদর উদ্দিন।