স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে নববধূর সাজে সেজেছে বাগেরহাট। শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পদ্মা সেতু সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ও প্লাকার্ড নিয়ে বাগেরহাটে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালী শেষে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম চত্তরে সপ্তাহব্যাপী পদ্মা সেতু আনন্দ মেলার উদ্ধোধন করা হয়েছে। বাগেরহাট বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালীতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হকসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসন,শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক বিভাগসহ সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ।
বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালীতে সুসজ্জিত পিকআপে করে বাউল শিল্পীরা পদ্মা সেতুর গান সহ পদ্মা সেতু সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ও প্লাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ অংশ নেন। র্যালী শেষে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম চত্তরে সপ্তাহব্যাপী পদ্মা সেতু আনন্দ মেলার উদ্ধোধন শেষে অনুষ্ঠান সকলকে দেখানোর জন্য স্বাধীনতা উদ্যানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হয়। জেলা ও উপজেলায় হয়েছেআলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাগেরহাটে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। পদ্মা সেতু সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে বাগেরহাট জেলা। জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মোড়ে পদ্মা সেতুর থিম সং বাজানো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ও পদ্মা সেতুর ওপর তথ্যচিত্র প্রচার, বিভিন্ন সড়কে আলোক সজ্জা ওসৌন্দর্যবর্ধণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে বাগেরহাটের দড়াটানাসেতু, মুনিগঞ্জ সেতু, মোল্লাহাটের আবুল খায়ের সেতু ও চিতলমারীতে শেখ লুৎফর রহমান সেতুসহ সকল বড় বড় সেতু ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আলোক সজ্জা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নববধূর সাজে সেজেছে বাগেরহাট। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মনে অন্যরকম আনন্দ বইছে।