হিলি প্রতিনিধি |
দিনাজপুরের হিলি বাজারে এখনো জমে ওঠেনি ঈদের কেনাকাটা। প্রতিবছরের মতো দোকানদাররা নতুন নতুন পোশাক তুলে বসে থাকলেও তেমন বেচাকেনা নেই। দু’একটি দোকানে শিশুদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, অন্যবার ১০ রোজার পরই বেচাকেনা জমে ওঠে। কিন্ত এবার এখনো তেমন ক্রেতা সমাগম নেই। তবে, ঈদের আরও দুই সপ্তাহের মতো বাকি, আশা করি হবে।
এদিকে, ক্রেতারা বলছেন, উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্যরা কেনাকাটা শুরু করলেও মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ এখনো অর্থাভাবে ঈদের কেনাকাটা শুরু করতে পারছেন না। তবে কিছু কিছু ক্রেতা ছোট বাচ্চাদের শখ পুরণ করতে শুধু তাদের জন্য নতুন কাপড় কেনাকাটা করছেন।
শুক্রবার ( ৭ এপ্রিল) হিলি বাজারে সরেজমিনে গিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কথা হয় কাপড় কিনতে আসা রোকছানা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাচ্চাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় কিনতে এসেছি। বাজেটের মধ্যে হলে কিনবো। আর আমাদের চিন্তা পরে। আগে বাচ্চাদের ইচ্ছা পূরণ করি।’
কাপড়ের দোকানে দোকানে ঘুরে দেখছেন সাদুরিয়া গ্রমের মো. আক্কাস আলী। তিনি বলেন, ‘ইরি-বোরো ধান লাগানোর পর হাতের অবস্থা ভালো না। তারপরও ছেলে-মেয়েদের জন্য নতুন কাপড় কিনতে এসেছি। দোকানে ঘুরে ঘুরে দেখছি, পছন্দ ও দরদামে মিলে গেলে কাপড় কিনবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর আছে ঈদের খরচ। সবমিলিয়ে হিসেব করে চলতে হচ্ছে।’
হিলি বাজারের কাপড় বিক্রেতা বৃষ্টি গার্মেন্টসের মালিক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বছর বেচাবিক্রি একটু ঢিলেঢালা। দেখা যাক ঈদের আরও দুই সপ্তাহের মতো বাকি। ২০ রোজার পর হয়তো চাপ বাড়তে পারে।’
তৈরি কাপড় বিক্রেতা মো, আনারুল ইসলাম বলেন, আমাদের ব্যবসা মুলত সিজিনাল। দুই ঈদে বেচাবিক্রি একটু বেশি হয়। তবে এবার এখনো ক্রেতাদের তেমন চাপ দেখা যায়নি। আর কয়েকদিন পর হয়তো বেচা বিক্রি বাড়তে পাারে।
আনারুল ইসলাম আরও বলেন, আমার দোকানে পর্যাপ্ত পরিমান নতুন নতুন আইটেমের পোশাক আছে। দামও সাধ্যর মধ্যে। আর দু’চার দিন পর হয়তো বিক্রি বাড়তে পারে।